You have no items in your shopping cart.
RSS

Blog

চোখের নিচের কালো ভাব দূর করতে তৈরী করুন অসাধারণ ঘরোয়া ফেসপ্যাক
চোখের নিচের কালো ভাব দূর করতে তৈরী করুন অসাধারণ ঘরোয়া ফেসপ্যাক
চোখের নিচে কালো ভাব অনেকেরই হতে পারে। এটি আপনাকে ক্লান্ত এবং আপনার চেয়ে বয়স্ক দেখাতে পারে। বাজারে এমন অনেক পণ্য রয়েছে যা কালো ভাব  দূর করে, তবে এগুলোর বেশিরভাগই রাসায়নিক পদার্থে ভরা যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এই পোস্টে, আমরা আপনাকে দেখাব কীভাবে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে একটি সহজ, কিন্তু কার্যকরী ফেসপ্যাক ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন। উপকরণ: টমেটোর রস-১ চা চামচ লেবুর রস-১ চা চামচ বাদাম তেল -১ চা চামচ আলুর রস -১ টেবিল চামচ নির্দেশাবলী: একটি পাত্রে ১চা চামচ টমেটোর রস, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ বাদাম তেল মেশান। মিশ্রণে ১ টেবিল চামচ আলুর রস যোগ করুন। উপাদানগুলি একত্রিত না হওয়া পর্যন্ত ভালভাবে নাড়ুন। মিশ্রণটি চোখের নিচে লাগাতে একটি তুলোর বল ব্যবহার করুন। মিশ্রণটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আপনার ত্বক শুকিয়ে নিন। টমেটোর রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা ডার্ক সার্কেল হালকা করতে সাহায্য করে। লেবুর রস একটি প্রাকৃতিক স্কিন লাইটেনার এবং ডার্ক সার্কেলের চেহারা বিবর্ণ করতে সাহায্য করতে পারে। বাদাম তেল একটি দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার এবং আপনার ত্বকের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। আলুর রসে এনজাইম থাকে যা ফোলাভাব এবং কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার বা দুইবার এই ফেসপ্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন যে, ফলাফল ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে এবং এই ফেস প্যাকের সম্পূর্ণ প্রভাব দেখতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। উপসংহারে, এই ঘরে তৈরি ফেসপ্যাকটি আপনার চোখের নিচের কালো দাগের জন্য একটি সহজ এবং কার্যকরী সমাধান। এটি তৈরি করা সহজ এবং আপনার রান্নাঘরে সহজেই পাওয়া যায় এমন উপাদান দিয়ে করা যেতে পারে। এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন এবং আপনার ফলাফল আমাদের জানান!
দাঁতের যত্নে ডেন্টাল ফ্লসিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
দাঁতের যত্নে ডেন্টাল ফ্লসিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
দাঁতের যত্নে ডেন্টাল ফ্লসিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ডেন্টাল ফ্লস হল ভাল ওরাল হাইজিন বজায় রাখার জন্য এবং দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ প্রতিরোধে একটি অপরিহার্য হাতিয়ার। ছোট আকারের সত্ত্বেও, ফ্লসিং দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ির নীচে জমা হতে পারে এমন ফলক এবং খাদ্য কণা অপসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার প্রতিদিনের ওরাল কেয়ার রুটিনে ফ্লসিং অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি আপনার দাঁত এবং মাড়িকে সুস্থ রাখতে এবং দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারেন। প্লাক নিয়মিত অপসারণ না করলে দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ হতে পারে। একা ব্রাশ করলে দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ির আঁটসাঁট জায়গায় প্লাক তৈরি হতে পারে না, যেখানে ফ্লসিং আসে। ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করে, আপনি এই জায়গাগুলি থেকে প্লাক এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে পারেন, দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফ্লসিং দাঁতের মাঝখানে জমা হতে পারে এমন খাদ্য কণা অপসারণ করতেও সাহায্য করে। এই কণাগুলি ব্যাকটেরিয়াকে আকর্ষণ করতে পারে, যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। নিয়মিত ফ্লস করে, আপনি এই কণাগুলি অপসারণ করতে পারেন এবং আপনার শ্বাসকে সতেজ রাখতে পারেন। ফ্লসিং আপনার মাড়ির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও সাহায্য করতে পারে। যে মাড়িগুলি সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয় না সেগুলি ফুলে যায় এবং সহজেই রক্তপাত হতে পারে, যা মাড়ির রোগ হতে পারে। নিয়মিত ফ্লসিং করে, আপনি গামলাইন থেকে ফলক এবং খাদ্য কণা অপসারণ করতে এবং প্রদাহ এবং রক্তপাত কমাতে সাহায্য করতে পারেন। দিনে অন্তত একবার ফ্লস করার পরামর্শ দেওয়া হয়, আদর্শভাবে আপনার দাঁত ব্রাশ করার আগে। আপনি ঐতিহ্যগত ফ্লস বা ইন্টারডেন্টাল ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন, যেমন ওয়াটার ফ্লসার বা ফ্লস পিক। ফ্লস করার সময়, আপনার দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ির নীচে ফ্লস কাজ করার জন্য একটি মৃদু পিছনে এবং সামনে গতি ব্যবহার করুন। প্রতিটি দাঁতের উভয় পাশে ফ্লস করতে ভুলবেন না এবং প্রতিটি দাঁতের গোড়ার চারপাশে আলতো করে ফ্লসটি বাঁকুন। উপসংহারে, ভাল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা এবং দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ফ্লসিং একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার প্রতিদিনের মৌখিক যত্নের রুটিনে ফ্লসিং অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি দাঁতের মাঝখানে এবং মাড়ির নীচে আঁটসাঁট জায়গা থেকে ফলক এবং খাদ্য কণা অপসারণ করতে, আপনার মাড়ির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং আপনার শ্বাসকে সতেজ করতে সাহায্য করতে পারেন। সেরা ফলাফলের জন্য দিনে অন্তত একবার ফ্লস করতে ভুলবেন না।  ফ্লসিং: কী কী ধাপ অনুসরণ করতে হবে? আপনার দাঁত সঠিকভাবে ফ্লস করতে এই ধাপে ধাপে নির্দেশিকা অনুসরণ করুন। প্রায় ১৮ থেকে ২৪ ইঞ্চি ডেন্টাল ফ্লস ভেঙে ফেলুন। ফ্লসটিকে সঠিকভাবে ধরে রাখতে, বেশিরভাগ ফ্লস আপনার মধ্যম আঙ্গুলের চারপাশে ঘুরিয়ে দিন। আপনার দাঁতের জন্য মাত্র ১ থেকে ২ ইঞ্চি ফ্লস ছেড়ে দিন। এর পরে, আপনার থাম্বস এবং তর্জনী দিয়ে টানটান ফ্লস ধরে রাখুন। দুই দাঁতের মাঝে ডেন্টাল ফ্লস রাখুন। আস্তে আস্তে ফ্লসটিকে উপরে এবং নীচে গ্লাইড করুন, প্রতিটি দাঁতের উভয় পাশে এটি ঘষুন। আপনার মাড়ির মধ্যে ফ্লস গ্লাইড করবেন না। এটি আপনার মাড়িতে আঁচড় বা ক্ষত তৈরি করতে পারে। ফ্লস আপনার মাড়িতে পৌঁছানোর সাথে সাথে ফ্লসটিকে দাঁতের গোড়ায় বাঁকিয়ে C আকৃতি তৈরি করুন। এটি ফ্লসকে আপনার মাড়ি এবং দাঁতের মধ্যবর্তী স্থানে প্রবেশ করতে দেয়। দাঁত থেকে দাঁতে যাওয়ার সময় ধাপগুলি পুনরাবৃত্তি করুন। প্রতিটি দাঁতের সাথে, ফ্লসের একটি নতুন, পরিষ্কার অংশ ব্যবহার করুন।
হিল পরবেন, না আরামদায়ক জুতো?
হিল পরবেন, না আরামদায়ক জুতো?
হিলের কারণে যে যে সমস্যাগুলি হতে পারে: জয়েন্টে ব্যথা:  যে কোনও ভালো মানের জুতোতেই শক অ্যাবজ়র্বার থাকে, হিলের ক্ষেত্রে সে সুবিধেটাই নেই। হিল পরলে পায়ের পাতাটা সব সময় সোজা হয়েই থাকে, জুতোর মধ্যে নড়াচড়ার কোনও স্কোপ থাকে না। ফলে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলার সময় হাঁটুর উপর বাড়তি চাপ পড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর শোধ তুলতে আরম্ভ করবে আপনার হাঁটু। যাঁদের আর্থারাইটিসের সমস্যা আছে, তাঁরা যদি লাগাতার হিল পরেন, তা হলে কি হতে পারে আন্দাজ করতে পারছেন কী? পায়ে কড়া:  হাই হিল, বিশেষত পয়েন্টেড টো শেপের হাই হিল যাঁরা নিয়মিত পরেন, তাঁদের পায়ের আঙুলে কড়া পড়ে খুব তাড়াতাড়ি। কারণ আর কিছুই নয়, হিল আপনাকে এমনভাবে হাঁটতে বাধ্য করছে যাতে আঙুলের দু’পাশে আর গোড়ালিতে বাড়তি চাপ পড়ছে। কুদর্শন কড়ার কল্যাণে সময় এমন আসবে যে আপনি পা ঢাকা জুতো ছাড়া অন্য জুতো আর পরতেই পারবেন না! কোমরে ব্যথা: হিল পরে যখন আপনি হাঁটাচলা করেন, তখন পেলভিসটা সামনের দিকে এগিয়ে থাকতে বাধ্য হয়। তার ফলে প্রচন্ড চাপ পড়ে আপনার লোয়ার ব্যাকে, তারই ফলশ্রুতি কোমরে নিদারুণ ব্যথা। কুশনের অভাব: আপনি ফ্ল্যাট বা প্ল্যাটফর্ম হিল পরলে শরীরের ওজন পুরো পায়ের পাতায় ভাগ হয়ে পড়ে, হিল পরলে পুরোটা পড়ে স্রেফ গোড়ালির উপর। এর ফলে গোড়ালিতে যে ব্যালান্স থাকে, সেটা ক্রমশ হারাতে আরম্ভ করে। একান্তই যদি হিল পরতে হয়, তা হলে কী করবেন? খুব সোজা, যে সময়টুকু না পরলেই নয়, সেই সময়েই কেবল হাই হিল পরুন। দরকারে অফিসে এক সেট আরামদায়ক ফ্ল্যাট রেখে দিন। প্ল্যাটফর্ম হিল পরতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়, তাতে শরীরের চাপটা কেবল গোড়ালির উপর পড়ে না। ভালো কোম্পানির হিল কেনা উচিত, তাদের উন্নতমানের রিসার্চের ফলে কমবে আপনার কষ্টের ভাগ। 
জেনে নিন যে ৮টি উপায়ে স্মৃতি শক্তি বাড়ানো যায়
জেনে নিন যে ৮টি উপায়ে স্মৃতি শক্তি বাড়ানো যায়
নাম, ফোন নাম্বার, জায়গার নাম মনে রাখতে পারেন না? বলা হয়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে যুক্তি তৈরির ক্ষমতা, দ্রুত জবাব তৈরির মতো মানসিক ক্ষমতা কমতে থাকে। কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়লেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। সহজ কিছু কায়দাকানুনের মাধ্যমে মগজের শক্তি বাড়ানো যায়: ১. ব্যায়ামে মস্তিষ্কের আকার বাড়ে ছবির ক্যাপশান,শরীর আর মনের সুস্থতার চাবিকাঠি হচ্ছে ব্যায়াম। এটা খুব সত্যি কথা। শরীরচর্চা করলে দেহের পেশির সাথে সাথে মস্তিষ্কের আকারও বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের সিন্যাপসের সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে মগজে নতুন নতুন কোষ তৈরি হয়। আর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামের ফলে মগজে বেশি হারে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। আর আপনি যদি খোলা জায়গায় ব্যায়াম করেন, তাহলে বাড়তি পাওনা হলো ভিটামিন ডি। টিপস: শরীর চর্চার পাশাপাশি নতুন জায়গায় বেড়াতে যান, নতুন ধরনের কাজ শুরু করুন। অথবা নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে কাজ করুন। যেমন, যদি আপনার শখ হয় বাগান করা, তাহলে আরো কিছু বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাগান করুন। পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে ভাল লাগলে, সাথে যাওয়ার সঙ্গী খুঁজে বের করুন। শুধু খেয়াল রাখবেন পুরো ব্যাপারটি যেন আপনি উপভোগ করতে পারেন। এতে মস্তিষ্কের ওপর ব্যায়ামের উপকারিতা বাড়ে। ২. হাঁটাচলায় বাড়ে স্মৃতিশক্তি ছবির ক্যাপশান,বাগান করার মধ্য দিয়ে শরীরের ব্যায়াম হয়, তেমনি মনেরও ব্যায়াম হয়। বহু গবেষণায় এটা প্রমাণিত। অভিনেতারাও এই কাজটা করে থাকেন। কোন শব্দ বা বাক্য যদি আপনি হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করার চেষ্টা করেন, তাহলে সেটা বহুদিন ধরে আপনার মনে থাকবে। টিপস: এরপর কোন বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশন মুখস্থ করতে হলে সেটা হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করার চেষ্টা করুন কিংবা একটু বাইরে ঘুরে আসুন। ৩. মগজের শক্তির জন্য বেছে নিন সঠিক খাবার ছবির ক্যাপশান,আপনার পাকস্থলী ঠিক মানে আপনার মগজও ঠিক। আপনার খাবারের ২০% শর্করা এবং শক্তি আপনার মস্তিষ্কে যায়। মস্তিষ্কের কাজের পুরোটাই নির্ভর করে তার গ্লুকোজের মাত্রার ওপর। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রায় হেরফের হলে আপনার মনেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। যেসব খাবার আপনারা খুব পছন্দ সেগুলো খেলে আপনার মস্তিষ্কের ‘রিওয়ার্ড এরিয়ায়’ ডোপামিন রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আপনার মনে খুশি খুশি ভাব হয়। কিন্তু মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার পেটের দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের দেহের পরিপাকতন্ত্রে একশো ট্রিলিয়নেরও বেশি অণুজীব বসবাস করে। এরা আপনার মস্তিষ্কের সঙ্গেও সংযোগ রক্ষা করে। মগজের সুস্থতার জন্য এই অণুজীবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। আসলে, পাকস্থলীকে অনেক সময় ‘দ্বিতীয় মগজ’ বলে ঢাকা হয়। পেটে নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার ঢুকলে এসব অণুজীবের মাধ্যমে তার সুফল মস্তিষ্কে পর্যন্ত পৌঁছায়। টিপস: মস্তিষ্কের কোষ ফ্যাট অর্থাৎ স্নেহ পদার্থ দিয়ে তৈরি। তাই খাবার থেকে তেল-চর্বি একেবারে বিদায় না করাই ভাল। বাদাম, তেলের বীজ, মাছ ইত্যাদি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে জন্য ভাল। আর খাবার সময় একা একা না খাওয়াই ভাল। সবার সাথে বসে খাবার খেলে তা মস্তিষ্কের জন্য সুফল বয়ে আনে। ৪. খুঁজে নিন অবসর ছবির ক্যাপশান,পরিশ্রমের ফাঁকে ফাঁকে অবসর নেয়াও জরুরি। স্বল্প মাত্রার মানসিক চাপ আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে বিপদের সময় বা জরুরি প্রয়োজনে পরিস্থিতিকে দ্রুত মোকাবেলার শক্তি পাওয়া যায়। কর্টিসল বলে হরমোনের কারণে দেহ-মন চাঙা হয় এবং মনোযোগের একাগ্রতা বাড়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ মস্তিস্কের জন্য খুবই খারাপ। সুতরাং, কাজের ফাঁকে অবসরের সময় বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মস্তিষ্ককে অবসর দিয়ে, এবং নিজেকে মূলত: সুইচ অফ করে, আপনি আপনার মগজের ভিন্ন একটি অংশকে ব্যায়াম করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। এরপর যদি কেউ দেখে যে আপনি কাজের মধ্যে বসে দিবাস্বপ্ন দেখছেন তখন আপনি বলতে পারবেন যে আপনি মস্তিষ্কের ভ্ন্নি একটি অংশের ব্যায়াম করছিলেন। টিপস: রিল্যাক্স করতে অসুবিধে হলে যোগব্যায়াম কিংবা মাইন্ডফুলনেস চর্চার সাহায্য নিতে পারেন। এগুলো আপনার দেহের স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করবে। ৫. নতুন কিছু করুন ছবির ক্যাপশান,নতুন কিছু শেখার মধ্য দিয়ে মগজকে আরো সক্রিয় করে তুলুন। মগজের শক্তি বৃদ্ধির একটা পথ হলো নতুন কোন কাজ করার জন্য মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করা। ছবি আঁকা কিংবা বিদেশি ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়ে এটা করা সম্ভব। টিপস: নিজে কিংবা বন্ধুদের সাথে নিয়ে অনলাইন গেমস খেলুন। শুধু নিজেকে চ্যালেঞ্জ করাই না, এর মধ্য দিয়ে অন্যদের সাথে সামাজিক যোগাযোগও বাড়বে। ৬. সুরের মাঝে লুকিয়ে আছে শক্তি ছবির ক্যাপশান,সুরের মাধ্যমে জেগে ওঠে মস্তিষ্ক। বাড়ে মেধা। সঙ্গীত যে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে, তার প্রমাণ রয়েছে। কেউ গান শোনার সময় যদি তার মস্তিষ্কের ছবি তোলা যায়, তাহলে দেখা যাবে পুরো মস্তিষ্ক সুরের প্রভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মস্তিষ্ক সঙ্গীতের স্মৃতি দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে। এটা ডিমেনশিয়ার মত মানসিক অবস্থা ঠেকাতে বেশ কার্যকরী। টিপস: গানের দল বা কয়্যারে যোগ দিন। আপনার প্রিয় ব্যান্ডের গানের অনুষ্ঠান দেখতে যেতে পারেন। ৭. বিছানায় শুয়ে পরীক্ষার পড়া ছবির ক্যাপশান,বিছানার ওপর শুয়ে-বসে পড়ার সুফল রয়েছে।, বলছেন বিজ্ঞানীরা। দিনের বেলা যখন আপনি নতুন কিছু শিখছেন, তখন আপনার মস্তিষ্কে এক স্নায়ুকোষের সাথে নতুন একটি স্নায়ুকোষের সংযোগ তৈরি হয়। আপনি যখন ঘুমিয়ে পড়েন তখন সেই সংযোগ আরও জোরদার হয়। এবং যা শিখেছেন তা স্মৃতি হিসেবে জমা হয়। এক পরীক্ষায় জানা যাচ্ছে, আপনি যদি শোবার আগে কাউকে একটা লিস্ট দিয়ে বলেন সেটা মুখস্থ করতে, তাহলে পরদিন সকালে সে সেটা খুব সহজেই মনে করতে পারবে। কিন্তু যদি সেই একই লিস্ট সকাল বেলা দিয়ে বলেন সন্ধ্যের সময় মুখস্থ বলতে তাহলে সেটা মনে করা বেশ কঠিন হবে। তবে কোন দু:খের স্মৃতি নিয়ে শোবার সময় চিন্তাভাবনা না করাই ভাল। এতে মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। একই কারণে শোবার আগে হরর ছবি দেখাও বারণ। এর বদলে সারা দিনের যেসব ভাল ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো মনে করার চেষ্টা করুন। টিপস: পরীক্ষার পড়ার সময় প্রশ্নের জবাবগুলো শোবার সময় মনে করার চেষ্টা করুন। এবং চেষ্টা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ুন। ৮. ঘুম যখন ভাঙল ছবির ক্যাপশান,দিনের শুরুর সাথে তাল মিলিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠুন। ঘুমের গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুম হলে মস্তিষ্ক সজাগ হওয়ার সময় পায় না। কিন্তু দিনের পুরোটাকে ভালভাবে কাজে লাগানোর চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে কিভাবে আপনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তার মধ্যে। সবচেয়ে ভাল হয় ঘুমাতে যাওয়ার সময় ঘর অন্ধকার থাকলে, এবং প্রভাতে দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে জেগে উঠতে হয়। সূর্যের কিরণ যখন আপনার বন্ধ চোখের পাতা ভেদ করে ঢুকে পড়ে, তখন সেটা মস্তিষ্ককে কর্টিসল হরমোন ছড়িয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ করে। এর ফলে আপনি জেগে ওঠেন। তাই কী পরিমাণ কর্টিসল হরমোন আপনার দেহে ছড়িয়ে পড়ে, তার ওপর নির্ভর করবে দিনটা আপনার কেমন যাবে। টিপস: এমন অ্যালার্ম ক্লক ব্যবহার করুন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে যার সুর ক্রমশই বাড়তে থাকে। তবে যাদের ঘুম কুম্ভকর্ণের মতো তাদের প্রয়োজন জেলখানার পাগলা ঘণ্টির মতো অ্যালার্ম ক্লক!
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে শরীরচর্চা
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে শরীরচর্চা
নীরব ঘাতক হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করেই নিভিয়ে দেয় জীবনপ্রদীপ। ঝুঁকি কমাতে কিভাবে নিয়মমাফিক জীবন যাপন করবেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন— ডা. অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী সাবেক অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ কারণ রক্তনালির পথ বন্ধ হয়ে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি যখন হৃদযন্ত্রে পৌঁছতে পারে না, তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। আগেভাগে বলা যায় না কখন হার্ট অ্যাটাক হবে। তাই যে কেউ যেকোনো সময় এতে আক্রান্ত হতে পারেন। বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও দুশ্চিন্তার কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। উপসর্গ * বুক ব্যথা হওয়া * ব্যথা বুকের মাঝখান থেকে চোয়াল, কাঁধ ও পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া * শ্বাসকষ্ট * চোয়ালে ব্যথা * কাশির সঙ্গে ঘোলাটে কফ। * ক্লান্তি লাগা ও বুক ধুকপুক করা। * কাজ করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। * হৃৎস্পন্দনের দ্রুত ওঠানামা। করণীয় হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে শরীরচর্চা করতে হবে। দিনে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। একেবারে না পারলে সকালে, বিকালে ও রাতে ১০ মিনিট করে হাঁটতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ফাস্ট ফুড খাওয়া যাবে না। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খাবারের তালিকায় রাখুন শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও ফল, বাদাম, ওটমিল, মটরশুঁটি, বীজ, ডাল, লাল চাল, লাল আটা। রাতের ঘুমও আপনাকে ভালো রাখবে। রান্নায় জলপাই তেলের ব্যবহার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। লাল মাংস খেলেও প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা মাত্র রোগীকে কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করাতে হবে। সুস্থ হওয়ার পর নিয়ম মেনে চললে দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমানো যাবে।
জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়া
জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়া
জ্ঞান মানুষের অমূল্য সম্পদ। এটা বান্ধার জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। এই কারণে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন,  ‘যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভুত কল্যাণ প্রাপ্ত হয়। আর উপদেশ তারাই গ্রহণ করে, যারা জ্ঞানসম্পন্ন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৬৯) জ্ঞান বৃদ্ধির অনেক দোয়া ও আমল কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এসব আমল করলে ও দোয়া পড়লে আল্লাহ তাআলা জ্ঞান বৃদ্ধি করে দেন। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত বেশি বেশি করে এসব দোয়া পড়া ও আমল করা। নিম্নে পাঠকদের সুবিধার্থে সহজ দুইটি দোয়া উল্লেখ করা হলো। দ্বিনের জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়া:  আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার নবী (সা.) শৌচাগারে গেলেন, তখন আমি তার জন্য অজুর পানি রাখলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কে রেখেছে? আমি রেখেছি জানানো হলে তিনি বলেন,  ‘আল্লাহুম্মা ফাক্কিহহু ফিদ দ্বিন।’  অর্থ : ‘ইয়া আল্লাহ! আপনি তাকে দ্বিনের জ্ঞান দান করুন।’  -(বুখারি, হাদিস : ১৪৩) উল্লেখ্য, অন্য কারও জন্য দোয়া করার ক্ষেত্রে হাদিসে উল্লিখিত শব্দে দোয়া করতে হবে। নিজের জন্য দোয়া করার ক্ষেত্রে পড়তে হবে:  ‘আল্লাহুম্মা ফাক্কিহনি ফিদ দ্বিন।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে দ্বিনের জ্ঞান দান করুন। উপকারী জ্ঞান লাভের দোয়া: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) এই দোয়া করতেন। ‘আল্লাহুম্মানফা-নি বিমা আল্লামতানি, ওয়া আল্লিমনি মা ইয়ানফাউনি ওয়া জিদনি ইলমা, ওয়া আউজুবিল্লাহি মিন হালি আহলিন নারি।’  অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে তুমি যা শিখিয়েছ, তা দিয়ে আমাকে উপকৃত করো, আমার জন্য যা উপকারী হবে, তা আমাকে শিখিয়ে দাও এবং আমার ইলম (জ্ঞান) বাড়িয়ে দাও। এবং আমি জাহান্নামিদের অবস্থা থেকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।’  -(তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৯৯; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৫১; ইবনু আবি শায়বা, হাদিস : ১০/২৮১)
সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগে? কিভাবে দূর করবেন?
সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগে? কিভাবে দূর করবেন?
আমাদের জীবন এখন রোবটের মতো হয়ে গেছে। এত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন কাটে যে নিজের জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এতে করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর ও মন দুটোই। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়তে চায় কখনো কখনো। আর এ থেকে শরীর ও মনজুড়ে অবসাদ নেমে আসে। প্রতিদিনকার ক্লান্তির কিছু সাধারণ কারণ ও তা থেকে পরিত্রাণের কিছু উপায় এখানে তুলে ধরা হলোঃ    অ্যানিমিয়া ও আয়রনের ঘাটতিঃ সব সময় ক্লান্তি লাগার কথা বললে চিকিৎসকেরা হয়তো প্রথমেই বুঝতে চাইবেন আপনার শরীরে আয়রন বা লৌহের ঘটাতি আছে কি না। রক্তশূন্যতা সহ নানা কারণেই এই ঘাটতি হতে পারে। খাবারদাবারে যথাযথ পরিমাণে লৌহ না থাকলে এমন দুর্বলতা বেড়ে যেতে পারে। আমাদের দেশে মেয়েদের মধ্যেই রক্তশূন্যতা বেশি দেখা গেলেও ছেলেরাও এতে ভুগতে পারে। ঋতুমতী নারীদের অনেকে, বিশেষত কম বয়সী মেয়েরা এমন রক্তশূন্যতায় বেশি ভোগে।  প্রতিকার:  প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া এবং লৌহের ঘাটতি মেটানো এই সাধারণ ক্লান্তি থেকে মুক্তির ভালো উপায়। ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমঃ ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বা ‘সিএফএস’ আরেকটি সাধারণ অসুস্থতা যা থেকে ক্লান্তি লাগতে পারে, দুর্বলতা ভর করতে পারে। এমন সমস্যায় আক্রান্তরা সারা রাত ঘুমালেও পরদিনও তাদের ক্লান্তি দূর হয় না। ঠিক কোন সমস্যা থেকে সিএফএস তৈরি হয় তা বলা মুশকিল। তবে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ভাইরাসের সংক্রমণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এমনকি প্রচণ্ড মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকেও এটা হতে পারে। প্রতিকার: এই ক্ষেত্রে প্রত্যেক রোগীর অবস্থাভেদে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য অনেক থেরাপিও আছে। ব্লাড সুগারের ওঠানামাঃ ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামার কারণেও এমন শারীরিক ক্লান্তি তৈরি হতে পারে। ডায়াবেটিসের অনেক উপসর্গের মধ্যে প্রায়ই শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, ক্লান্তিতে নেতিয়ে পড়া অবস্থাও একটি। আর বার বার প্রস্রাব পাওয়া আর তৃষ্ণার্ত হয়ে যাওয়া তো ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ লক্ষণ।  প্রতিকার: এমন হয়ে থাকলে সাধারণ রক্ত পরীক্ষা থেকেই আপনি ডায়াবেটিস শনাক্ত করতে পারবেন। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে শুরু করুন। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে সহজেই এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। হতাশা ও বিষন্নতায় ভোগাঃ  কোনো কিছু নিয়ে গভীর হতাশায় ডুবে আছেন? অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে লাগাতার বিষণ্নতায় ভুগছেন? তাহলেও কিন্তু এমন দুর্বলতা আর ক্লান্তি ভর করতে পারে।  প্রতিকার: এমন হলে আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। নিজের সমস্যার কথা খুলে বলে তাঁর পরামর্শ নিন। অল্প দিনেই আপনি হয়তো আবার নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করবেন। শারীরিক ও মানসিক এই ক্লান্তি দূর করতে কিছু সময় নিজের জন্য বের করতে হবে।   উপরোক্ত প্রতিকার গুলো ছাড়াও নিচে উল্লেখিত কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চলার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত ঘুম: সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এতে করে চনমনে হবে মন ও শরীর। সুস্থ শরীরের জন্যও পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঘুম যেন ভালো হয় সে বিষয়েও খেয়াল রাখুন। রাতে বিছানায় যাওয়ার কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিন দূরে রাখুন। একাকী সময় কাটানো: বহির্মুখী  মানুষ যেখানে অনেকের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করে, সেখানে যারা অন্তর্মুখী তারা একাকী সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করে। পুনরায় কাজের উদ্যম ফিরে পেতে তারা একা বিশ্রাম নিতে পছন্দ করে। এমন হলে নিজের জন্য সময় বের করে নিন। মানসিক চাপ কমানো: জীবনে দুশ্চিন্তা থাকাটা স্বাভাবিক, তা যদি বেশি মাত্রায় হয় তবে তা থেকে মানসিক জটিলতা- অর্থাৎ সাইকোসোমাটিক হতে পারে। এর মধ্যে ক্রনিক অবসাদ একটি। এ জন্য প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখুন।   এতে করে ভালো থাকবে মানসিক স্বাস্থ্য। নিজের শখ পূরণ করা: আপনি আপনার কাজকে যতই ভালোবাসেন না কেন, বেশি কাজ করা আপনার শরীর ও মন দুটোর জন্যই খারাপ। কাজের পাশাপাশি এমন কিছু করুন, যা আপনি করতে পছন্দ করেন। যা আপনার মনের জন্য থেরাপির মতো কাজ করবে। বেড়িয়ে আসা: সব সময় ক্লান্তি বোধ করার কারণ হতে পারে একঘেয়েমি। চেষ্টা করুন প্রিয়জনের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার। এই পরিবর্তন শরীর ও মন দুটোর ওপরই প্রভাব ফেলবে। এর ফলে আপনি কাজে নতুন উদ্দীপনা ফিরে পাবেন।
চাকরির ইন্টারভিউয়ে এক্সেল নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন ও তার উত্তর!
চাকরির ইন্টারভিউয়ে এক্সেল নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন ও তার উত্তর!
চাকরির ইন্টারভিউয়ে এক্সেল নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন ও তার উত্তর চাকরি প্রত্যাশী ও তার প্রত্যাশিত চাকরির মাঝখানে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে ভাইভা বোর্ডে তার পারপরম্যান্স। ভাইভা বোর্ডে নিজের স্কিল প্রমান করতে পারলেই মিলবে চাকরি নামক সোনার হরিণ। চাকরির ক্ষেত্রে পদের বা দায়িত্বের ভিন্নতার কারণেই ভিন্ন ভিন্ন স্কিলের লোককবল প্রয়োজন হয়। আর তাই ইন্টারভিউয়ে বিভিন্নরকম প্রশ্ন করা হয়। তবে এসব প্রশ্নের মাঝে কিছু কমন প্রশ্ন থাকে। আমরা জানি কর্পোরেট জগতে চাকরির ক্ষেত্রে প্রায় সকল কাজেই এক্সেল এর গুরুত্বপূর্ণ ফর্মুলা প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। আর তাই এক্সেলে  এ দক্ষতা অর্জনের  বিকল্প নেই। আজকে আমরা আলোচনা করবো এইরকম কিছু কমন এক্সেল ফর্মুলা, যা প্রতিনিয়তই চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রশ্ন করা হয়। 1. IF (ফাংশন) IF ফাংশনটি Excel এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফাংশনগুলির মধ্যে একটি, এবং এটি আপনাকে একটি মান এবং আপনি যা আশা করেন তার মধ্যে যৌক্তিক তুলনা করতে সাহায্য করে৷ আমরা সবাই জানি If মানে– যদি, আর IF ফাংশনের কাজটাও আসলে এরকমই। এটা আপনাকে এমন ধরণের রেজাল্ট খুজে দেবে, যেখানে যদি আছে। এই ধরুন কোন ডাটাবেজের ভেতর থেকে আপনি চাচ্ছেন এমন ডাটা, যেখানে বলা আছে – যদি X এর মান Y এর থেকে বেশি হয় তাহলে Z এর Value বসবে। এই সব ক্ষেত্রে আপনি সহজেই IF ফাংশন দিয়ে আপনার ডাটা পেতে পারেন। ফর্মুলা:  =IF(logical_test,[value_if_ture], [value_if_false]) 2. VLOOKUP (ফাংশন) VLOOKUP হচ্ছে এক্সেলের সবচেয়ে পছন্দের এবং দরকারী একটা ফাংশন| VLOOKUP দিয়ে আমরা অনেক বড় বড় ডাটাবেজের ভেতর থেকে মুহূর্তের মধ্যে আমাদের ইচ্ছা মত ডাটাকে খুজে বের করতে পারি। অনেকটা সফটওয়ারের মত। যেমন ধরুন আপনার একটা বড় Employee Databse আছে, আপনি চাইলে VLOOKUP ফাংশন ব্যবহার করে সেখান থেকে Employee ID দিয়েই একটা Employee এর সব তথ্য বের করতে পারেন। ফর্মুলা:  =VLOOKUP(lookup_value, table_array, col_index_num,ture/false) 3. CONCATENATE (ফাংশন) CONCATENATE ফাংশন টি ব্যবহার করা হয় কোন দুইটা ডাটাকে একসাথে জুড়ে দেওয়ার জন্য। যদিও আমরা চাইলে এই কাজটি “&” দিয়ে করতে পারি। ফর্মুলা:  =CONCATENATE(“text”, cell_number, cell_number) 4. COUNT (ফাংশন) COUNT ফাংশনটি শূন্যগুলি বাদ দিয়ে সংখ্যা বা তারিখ সম্বলিত বিভিন্ন Cell গণনা করতে ব্যবহৃত হয়। ফর্মুলা:  =COUNT(cell-number:cell-number) 5. IFERROR (ফাংশন) অনেক সময় আমাদের লেখা ফরমূলা বা ফাংশন এর সঠিক মান বা Result আসেনা। সেটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমনঃ ফরমুলা ভুল করার কারনে, কিংবা ভুল Cell Reference দেওয়ার কারণে, অথবা সটিক ডাট ইনপুন না করারা কারণে, ইত্যাদি। তো যখন আমাদের ফরমূলা বা ফাংশন এর Result ভুল বা errors হয় তখন সাধারণত : #N/A, #VALUE!, #REF!, #DIV/0!, #NUM!, #NAME?, or #NULL! এই সব কথা আসে। আর আমরা যদি চাই যে, ব্যবহৃত ফরমুলা বা ফাংশন ভুল হলেও যেন #N/A, #VALUE!, #REF!, #DIV/0!, #NUM!, #NAME?, or #NULL! এসব লেখা না এসে আমরা যেটা চাই সেটা যেন আসে (যেমন: Invalid ID/ Data not Found or match)। সেক্ষেত্রে আমারা IFERROR function টি ব্যবহার করতে পারি। ফর্মুলা:  =IFERROR(value_value_if_error) 6. COUNTBLANK (ফাংশন) COUNTBLANK ফাংশন কোন ডাটাবেজে কতগুলো ঘর ফাঁকা আছে তা গণনা করে। অর্থাৎ আপনার ডাটার ভেতর কতগুলো ঘর ফাঁকা আছে বা কত গুলো ঘরে কোন ডাটাই নাই সেটার সংখ্যা জানা যাবে COUNTBLANK ফাংশন ব্যবহার করে। ফর্মুলা:  =COUNTBLANK(cell_ranger) 7. COUNTIF (ফাংশন) COUNTIF এর কাজ হলো কোন মানদণ্ডের সাথে মিল আছে এমন সেলগুলি গণনা করা। এই ফাংশনটিতে রেঞ্জ এবং ক্রাইটেরিয়া থাকে। নির্দিষ্ট রেঞ্জের ডাটার ভেতর নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া কাউন্ট করা হয় এটা দিয়ে। COUহল একটি ফাংশন যা একটি একক মাপকাঠি পূরণ করে এমন কক্ষ গণনা করে। COUNTIF নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করে এমন তারিখ, সংখ্যা এবং পাঠ্য সহ কক্ষ গণনা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। COUNTIF ফাংশন আংশিক মিলের জন্য লজিক্যাল অপারেটর (>,<,<>,=) এবং ওয়াইল্ডকার্ড (*,?) সমর্থন করে। ফর্মুলা:  =COUNTIF (range, criteria) 8. SUMIF (ফাংশন) SUMIF ফাংশন হল একটি ওয়ার্কশীট ফাংশন যা একটি মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কক্ষে সমস্ত সংখ্যা যোগ করে। ফর্মুলা:  =SUMIF(range, criteria, [sum_range]) 9. COUNTA (ফাংশন) COUNTA সমস্ত কিছু গণনা করবে … সংখ্যা, তারিখ, text বা এই সবকিছু, কিন্তু ফাঁকা ঘর গণনা করে না। ফর্মুলা:  =COUNTA(range) 10. AVERAGEIF (ফাংশন) AVERAGEIF ফাংশন একটি মানদণ্ড পূরণ করে এমন ঘরের গড় গণনা করে। ফর্মুলা:  =AVERAGEIF (range, criteria, [average_range])
মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয় ?
মৃত্যুর স্মরণ জীবনের গতিপথ বদলে দেয় ?
প্রাণীমাত্রই মরবে। জন্ম ও মৃত্যু অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটির কোনোটির ক্ষমতা মানুষের হাতে নেই। আল্লাহর হুকুমেই জন্ম হয়, আল্লাহর হুকুমেই মৃত্যু হয়। কখন হবে, কোথায় হবে, কিভাবে হবে, তা কারো জানা নেই। জীবনের সুইচ তাঁরই হাতে, যিনি জীবন দান করেছেন। অতঃপর জীবনদাতার সামনে হাজিরা দিয়ে জীবনের পূর্ণ হিসাব পেশ করতে হবে। হিসাব শেষে চিরস্থায়ী জান্নাত বা জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং কিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলাপ্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে সফলকাম হবে। আর পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫) দুনিয়ার সুদৃঢ় ও সুউচ্চ প্রাসাদ ছেড়ে চলে যেতে হয় মাটির গর্তে। যেখানে তার নিচে, ওপরে, ডানে ও বাঁয়ে থাকে শুধু মাটি, যা থেকে সে সারা জীবন গা বাঁচিয়ে চলেছে। একটু ২২২২ সালের কথা ভাবুন! তখন ২০২২ সালের জীবিত মানুষগুলোর কেউ আর বেঁচে থাকব না। আমাদের দেহ মাটি খেয়ে নিঃশেষ করে ফেলবে। আমাদের অস্তিত্ব এ দুনিয়ায় থাকবে না; থাকবে রুহের জগতে। আমাদের কষ্টে তৈরি করা বাড়ি-ঘরগুলো বিলীন হয়ে নতুনভাবে তৈরি হবে। আমাদের স্মরণ করার মতোও কেউ থাকবে না। যেমন আমাদের অনেক পূর্বসূরির কথা আমরা আর স্মরণ করি না। সময় শেষ হলে আর অবকাশ দেওয়া হবে না নির্দিষ্ট সময় শেষ হলে আর কাউকেই অবকাশ দেওয়া হবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আমার প্রতিপালক, যদি আপনি আমাকে আরো কিছু দিনের জন্য সময় দিতেন, তাহলে আমি সদকা করে আসতাম ও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। অথচ নির্ধারিত সময়কাল যখন এসে যাবে, তখন আল্লাহ কাউকে আর অবকাশ দেবেন না। ’ (সুরা মুনাফিকুন, আয়াত : ১০-১১) বনি আদমের চাহিদা শেষ হবে না রাসুলল্লাহ (সা.) বলেছেন, যদি বনি আদমের স্বর্ণভরা একটা উপত্যকা থাকে, তথাপি সে তার জন্য দুটি উপত্যকা হওয়ার কামনা করবে। তার মুখ মাটি ছাড়া অন্য কিছুই ভরতে পারবে না। তবে যে ব্যক্তি তাওবা করবে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৩৯) সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান কে? আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। এ অবস্থায় এক আনসারী নবীজি (সা.)-এর কাছে এসে তাঁকে সালাম দিল। অতঃপর বলল, হে আল্লাহর রাসুল, মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম কে? তিনি বলেন, স্বভাব-চরিত্রে তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বেশি উত্তম। সে পুনরায় জিজ্ঞেস করল, মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান কে? তিনি বলেন, তাদের মধ্যে যারা মৃত্যুকে বেশি স্মরণ করে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য উত্তমরূপে প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তারাই সর্বাধিক বুদ্ধিমান। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৫৯) মৃত্যু দুনিয়ার স্বাদ বিনষ্টকারী দুনিয়ার প্রতি বেশি আকর্ষণের ফলে মানুষ মৃত্যুকে ভুলে যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘বেশি থেকে বেশি (দুনিয়া) কামানোর লোভ তোমাদের গাফিল করে রাখে। ’ (সুরা তাকাসুর, আয়াত : ১) এই ফাঁকে শয়তান তাকে দিয়ে অন্যায় করিয়ে নেয়। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা বেশি করে স্বাদ বিনষ্টকারী বস্তুটির কথা তথা মৃত্যুকে স্মরণ করো। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩০৭) জানাজা মৃত্যুকে স্মরণ করায় রাসুলুল্লাহ (সা.) মুমিনদের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে বলেছেন এবং তাতে এক কিরাত তথা ওহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ নেকি ও দাফন শেষ করে ফিরে এলে তাতে দুই কিরাত সমপরিমাণ নেকির কথা বলেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ৯৪৫) এই নির্দেশনা এই জন্য, যাতে অন্যের জানাজা দেখে নিজের জানাজার কথা স্মরণ হয়। অন্যের কবরে শোয়ানো দেখে নিজের কবরের কথা মনে হয়। অন্যের অসহায় চেহারা দেখে নিজের মৃত্যুকালীন অসহায় অবস্থার কথা স্মরণ হয়। যাতে মানুষের অহংকার চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় ও সে বিনয়ী হয়। অতঃপর পরপারে যাত্রার প্রস্তুতি গ্রহণে তৎপর হয়। মৃত্যু কামনার হুকুম দুনিয়াতে সুখ ও দুঃখ উভয়ই থাকবে; কিন্তু তা চিরস্থায়ী নয়। দুনিয়ার সুখে শোকর করতে হয় আর দুঃখে সবর করতে হয়। বেশি দুঃখ-কষ্টের কারণে মৃত্যু কামনা বৈধ নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ দুঃখ-কষ্টে পতিত হওয়ার কারণে যেন মৃত্যু কামনা না করে। যদি কিছু করতেই চায়, তাহলে সে যেন বলে : হে আল্লাহ, আমাকে জীবিত রাখো, যত দিন আমার জন্য বেঁচে থাকা কল্যাণকর হয়। এবং আমাকে মৃত্যু দাও, যখন আমার জন্য মরে যাওয়া কল্যাণকর হয়। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৭১)
মৌসুমের পরিবর্তনে ঠাণ্ডা-কাশি প্রতিরোধে কি করবেন? জেনে নিন ৭টি টিপস
মৌসুমের পরিবর্তনে ঠাণ্ডা-কাশি প্রতিরোধে কি করবেন? জেনে নিন ৭টি টিপস
ঋতু বদল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি নিজের রূপ বদলে নিচ্ছে, ক্রমশ বাড়ছে শীত। আর শীত বাড়ার সাথে সাথে ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশি, বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমার সমস্যা । বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় বা শীতকালে সর্দি-কাশির সমস্যাগুলো বেড়ে যায়। অনেকেই একে উপেক্ষা করেন সাধারণ সমস্যা ভেবে, এতে বিপদ আরও বাড়তে পারে। সময় মতো এই সমস্যার চিকিৎসা না করালে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শ্বাসযন্ত্রে। তবে কড়া কড়া ওষুধ বা সিরাপ খাওয়ার আগে এমন কিছু ঘরোয়া টিপস জেনে নেওয়া যাক যা সর্দি-কাশি, বুকে কফ বা শ্লেষ্মা জমার সমস্যার উপশমে বিশেষ কার্যকরী হবে! ১) গরম পানির ভাপ বা সেঁক (Vapour): সর্দি-কাশির সমস্যায় গরম পানির ভাপ বা সেঁক (Vapour) নেওয়া একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। সর্দি-কাশির সমস্যার কারণে যদি আপনার নাক বন্ধ থাকলে গরম পানিতে লবন/ Menthol মিশিয়ে নিয়ে দিনে ২ বার করে ভাপ (Vapour) নিন। নাকের একপাশ দিয়ে টেনে অন্য পাশ দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন। এতে জমে থাকা মিউকাস সহজেই বের হয়ে যাবে এবং সর্দি-কাশির সমস্যাও দ্রুত কমে যাবে। ২) আদা চা: গলায় খুসখুসে ভাব দূর করতে আদা চা অতূলনীয় । ২ কাপ পানি কিছুটা আদার কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলেই গলার খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা-মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে। ৩) গরম পানিতে লেবুর রস: চায়ের পরিবর্তে গরম পানিতে এক চামচ পাতিলেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধুর মিশ্রণ দিনে ২ বার করে খেয়ে দেখুন। এই মিশ্রণ গলার ভিতরের সংক্রমণ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও গ্রিন-টি পানের অভ্যাস করতে পারেন। উপকৃত হবেন। ৪) কলা: কলা একটি নন-অ্যাসিডিক খাবার যা গলা খুসখুসে ভাব কমাতে খুবই কার্যকরী! এ ছাড়াও কলা একটি লো-গ্লাইসেমিক খাবার যা ঠান্ডা লাগা বা সর্দি ভাব দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। ৫) মধু: প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধু হচ্ছে উচ্চ ওষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার শ্বাসনালীর নানা সমস্যা দূরে রাখবে এবং সেই সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যাও। ৬) গাজর: গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেলস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই কারণেই চট করে সর্দি-কাশির মতো রোগগুলো শরীরকে কাবু করতে পারে না। তবে ঠান্ডা লাগলে কাঁচা গাজর না খেয়ে সেদ্ধ করেই খাওয়া উচিত। ৭) প্রচুর পানি পান করুন: সর্দি-কাশির সমস্যা হলে প্রচুর পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে আসে। শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে গেলে সেটা ধীরে ধীরে বের হয়ে যায় নিজে থেকেই। তাই সর্দি-কাশির সমস্যায় সারাদিনে প্রচুর পানি পান করতে থাকুন। এই সময়ে সর্দি-কাশির সমস্যা এড়ানোর জন্য নিচের ৪টি টিপস মেনে চলুন: ১) শাকসবজি: বাজারে এখন বাহারি সবজির সমাহার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবজির বিকল্প নেই। তাছাড়া বিভিন্ন ফল যেমনঃ নাশপাতি, আঙুর, কলা প্রভৃতি ফলও শরীর সুস্থ রাখতে ও রোগভোগ থেকে শরীরকে দূরে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। ২) খেলাধুল: শীতকালে দিন ছোট থাকায় বাচ্চাদের খেলাধুলা হয়ে ওঠে না। শরীর ভালো রাখতে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। মোবাইল, ল্যাপটপের বাইরে বেরিয়ে ঘণ্টাখানেক খেলতে পারলে অনেক চনমনে থাকবে শরীর। ৩) উপযুক্ত পোশাক: যেহেতু দিন আর রাতের তাপমাত্রার তারতম্য অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এই সময়, তাই পোশাক নির্বাচনে সচেতন হোন। বেশি ভারী পোশাক এড়িয়ে চলুন। ৪) পরিচ্ছন্নতা: করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও শরীর জীবাণুমুক্ত রাখার অভ্যাস চালিয়ে যান। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন। এ থেকে সংক্রমণ অনেকটা এড়ানো সম্ভব হবে।